একদিল শাহ মাজার
বাবা একদিল শাহ কোথায় কোখন কিভাবে জন্ম গ্রহন করে তা সঠিক ভাবে জানা যায় নি, তবে বাদশা শাহাজানের সময় সপ্তদশ শতকের প্রথম দিকে কুষ্টিয়ার অসিত্মত্বের কথা জানা যায়। যা আজ হাটশ হরিপুর ইউনিয়নের অমত্মর্গত পুরাতন কুষ্টিয়ায়।
এই পুরাতন কুষ্টিয়ার শুরু হয় বিভিন্ন ধর্মের মানুষের বসতি স্থাপন।যার মধ্যে হিন্দু ধর্মের মানুষই বেশি। তখন বাবা একদিল শাহ ইসলাম ধর্ম প্রচার শুরু করেন।
সাধক একদিল শাহ তার প্রচার প্রচারনায় অনেক মানুষ ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করতে শুরু করে। তৈরী হতে থাকে মসজিদ শুরু হয় আযান দেওয়া। সেই সময় বারো মাসে তের পুঁজা নিয়ে মেতে উঠত হিন্দু মুসলমান সবাই।
পাঁচ/ছয়শত বছরের পুরাতন তৎকালীন পদ্মানদী তীরবর্তী একদিল শাহ নামক একজন আল্লাওলার দরগা। পুরাতন মুরুববীদের মুখে শুনেছি সমসত্ম দরগাহ ইটের দেওয়াল দিয়ে ঘেরা ছিল। যদি কেউ ভুল বশবর্তীতে দরগাহে ইট চুরি করে নিয়ে যেত তার বাড়ীতে ঘরের চালে অকারণে আগুন লেগে যেত, ইট ফেরত না আসা পর্যন্ত আগুন নিভতো না। জানা যায় তিনি নাকি পদ্মা নদী পানির উপর দিয়ে হেটে যেতে পারতেন। বহু স্থান থেকে মানুষ তার কাছে এসে মুরিদ হত। তিনি বহু অলোকিক শক্তির অধিকারী ছিলেন।
১৯৫১ সালে তিনি মুরীদ গনের বাড়ী এসে অসুস্থ হয়ে পড়লে মুরূদগণ কুষ্টিয়ার হাসপাতালে ভর্তি করেন এবং সেখানেই তিনি মৃত্যুবরণ করেন। মুরীদগণ তাঁর লাশ এই দরগাহ প্রঙ্গনে সমাহিত করেন। মুরীদগণ তাঁর স্মরনে প্রতি বছর মাজার প্রাঙ্গনে ওরশ শরীফ পালন করেন।
দরবেশ রেজওয়ান শাহ
দরবেশ রেজন শাহ কুষ্টিয়া সদর থানার হাটশ হরিপুর গ্রামে জন্ম গ্রহন করেন। তিনি ছিলেন চিসতিয়া তরিকার। তিনি একজন ভদ্র , নন্ম্র সভাবের মানুষ ছিলেন। সব সময় চুপচাপ বসে থাকতে ভালো বাসতেন। ভক্তরা আসলে আদ্ধ্যাতিক আলোচনা করতেন , গান করতেন।তার গুরুও নাম ছিল দরবেশ সাধন শাহ। তিনি যখন বেচে ছিলেন তখন লালন শাহের তিরোধান এর পরের দিন তার বাড়িতে সাধু সংঘ অনুষ্ঠান হত। বহূ এলাকা থেকে মানুষ এই অনূষ্ঠান দেখতে আসতেন। সমগ্র দেশে তার ভক্তরা ছিল। পাংসার এক ভক্ত দরবেশ রেজওয়ান শাহ এর নামে ১১ বিঘা জমি লিখে দেন। সেখানে প্রতি বছর রেজন শাহের নামে অনুষ্ঠান হয়। তিনি কোন দিন নেশা করেননি। তিনি মৃত্যুর আগে উনার বসতবাড়ির দেড় বিঘা জমি সরকারের নামে উইল কওে দিয়ে যান যাতে তার মৃত্যুর পর এই জমির মালিক তার অগনিত ভক্করা হয়ে যায়। বর্তমানে উক্ত ভিটার উপরই তার মাজার শরিফ অবস্থিত। তার মাজারের পাশেই মামুন নদীয়ার মাজার।
এখন প্রতিবছর ১০ই ভাদ্র তার মাজারে অগনিত ভক্তদের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠান হয়।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস